১. পাল্পউড প্ল্যান্টেশন বিভাগ, বান্দরবানের আওতায় বান্দরবান পার্বত্য জেলার বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায় ৮টি রেঞ্জ, ১টি চেক স্টেশন রয়েছে।
1) সদর রেঞ্জ
2) রোয়াংছড়ি রেঞ্জ
3) চেমি রেঞ্জ
4) মিবাক্ষ্যা রেঞ্জ
5) পলি রেঞ্জ
6) পাইংক্ষ্যং রেঞ্জ
7) তারাছা রেঞ্জ
8) রেমাক্রীপ্রাংসা রেঞ্জ।
9) তারাছামুখ চেক স্টেশন
2. উক্ত রেঞ্জগুলোর আওতায় বন বিভাগ সংরক্ষিত বনাঞ্চল ছাড়াও বন বিভাগের অনুকূলে জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা কর্তৃক হস্তান্তরিত অশ্রেণীভূক্ত বনাঞ্চলে বিভিন্ন প্রকল্পের অধিনে সল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি বাগান উত্তোলন করা হইয়াছ।
3. উক্ত রেঞ্জগুলোর আওতায় স্থানীয় জনসাধারণকে নার্সারী ও বাগান সৃজন, পরিচর্যা, রক্ষনাবেক্ষণ বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণসহ নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
4. উক্ত রেঞ্জগুলোর আওতায় বন বিভাগ বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী, স্বায়ত্বশাসিত ও আধাস্বায়ত্বশাসিত সংস্থার অফিস প্রাঙ্গন, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, গোরস্থান ও শ্মশানে বনায়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে।
5. উক্ত রেঞ্জগুলোর আওতায় সরকারী বনভূমিসহ সরকারী ও বেসরকারী জমিতে বাঁশ, বেত, মূর্তা ইত্যাদি অপ্রধান বনজদ্রব্য উৎপাদনের সূযোগ রয়েছে।
6. উক্ত রেঞ্জগুলোর আওতায় সরকারী বনভূমিসহ বেসরকারী জমিতে অর্থনৈতিকভাবে অধিক লাভবান আগরসহ এমন অন্যান্য বৃক্ষপ্রজাতির বাগান সৃজন করার সূযোগ রয়েছে।
7. উক্ত রেঞ্জগুলোর আওতায় ব্যক্তিমালিকানাধীন বিভিন্ন জোতভূমির বাগানের কার্যপরিকল্পনা তৈরীসহ পরিপক্ক বনজ সম্পদ পরিমাপ ও মার্কাকরণ, ফ্রি পারমিট প্রদান, খাড়া মার্কাকৃত বৃক্ষ কর্তন ও খন্ডনকরণ, আহরণ ও পরিবহণ এবং বাজারজাতকরণে বন বিভাগ জোত মালিক ও কাঠ ব্যবসায়ীদের আইনী সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে।
8. সূনির্দিষ্ট বিধিমালার আলোকে বন বিভাগ অত্র এলাকায় করাত-কল স্থাপণের নিমিত্তে লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, করাত-কলে কাঠ আগমন, নির্গমন ও চিড়াই কার্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
9. সূনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে বন বিভাগ অত্র এলাকায় ফার্নিচার মার্ট স্থাপণের নিমিত্তে লাইসেন্স প্রদান ও নবায়ন, ফার্নিচার মার্টে কাঠ আগমন, চিড়াই, ফার্নিচার তৈরী ও সরবরাহ ইত্যাদি কার্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
10. ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইনের আলোকে বন বিভাগ অত্র এলাকায় ইটভাটা স্থাপণের নিমিত্তে লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নে সহায়তাসহ ইটের ভাটায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনাসহ ইট পোড়ানো কার্যে যে কোন বনজদ্রব্য ব্যবহারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
11. . অত্র এলাকায় অবৈধ কাঠ পাচারসহ বন অপরাধমূলক যে কোন কার্যকলাপ রোধে বন বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং উদঘাটিত যে কোন বন অপরাধ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
12. অত্র এলাকায় অবৈধ কাঠ পাচারসহ বন অপরাধমূলক যে কোন কার্যকলাপ রোধে বন বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং উদঘাটিত যে কোন বন অপরাধ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
13. অত্র এলাকায় বন্যপ্রাণী পাচাররোধে বন বিভাগ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছে এবং উদঘাটিত যে কোন বন্যপ্রাণী অপরাধ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
14. সূনির্দিষ্ট নীতিমালার আওতায় বন বিভাগ অত্র এলাকার ভিতরে ও বাইরে ফার্নিচার পরিবহনে জনসাধারণকে আইনী সহায়তা দিয়ে থাকে।
15. আহরিত ও জব্দকৃত বনজদ্রব্য নিলাম বিক্রয় ও বন রাজস্ব আহরণসহ বিক্রিত কাঠ পরিবহনে বন বিভাগ জনসাধারণকে আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
16. স্থানীয় জনসাধারণ কর্তৃক এলাকার পরিপক্ক বাঁশ, বেত, ফুলঝাড়ু, মেন্দার ছালসহ অন্যান্য অপ্রধান বনজদ্রব্য রাজস্ব পরিশোধের মাধ্যমে সংগ্রহ, পরিবহণ ও বাজারজাতকরণে বনবিভাগ আইনী সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
17. এলাকায় তামাক চূল্লীতে অবৈধ কাঠ পোড়ানো রোধসহ সরকারী বনাঞ্চলে জুম চাষ নিয়ন্ত্রণে বন বিভাগ কার্যকর ভূমিকা রাখছে।
18. অত্র বন বিভাগের তারাছামুখ চেক স্টেশনের মাধ্যমে এলাকার ভিতরে বাইরে কাঠ ও অন্যান্য বনজদ্রব্য পরিবহণের সময় জাত, মাপ, মার্কা, সংখ্যা, পরিমাণসহ পরিবাহিত বনজদ্রব্যের বৈধতা যাচাই করা হয় এবং কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস